
আসল শিক্ষা হচ্ছে লয় গো
চেতনাতো আজি সুপ্ত,
শিক্ষা এখন নির্বাসিত
মানবতা আজি গুপ্ত।
ভালো মন্দের বিচার ভুলে
নিজের স্বার্থ রাখি বাজি,
শিক্ষা মনের প্রসার ঘটায়
বিদ্যা তবু পণ্য আজি।
প্রজাপতি কুসুমের রূপে মুগ্ধ,
ভুলে যায় মধু খেতে,
তখন কি দেবতা নিচে আসে,
অপলক দৃষ্টিতে মুগ্ধতা থাকে তার?
সবুজের বনরাজি মাঝে
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি দেখে মুগ্ধ হয় শিখী
আপন খেয়ালে নাচে
তখন কি দেবতা নিচে আসে নিশ্চিত মুগ্ধতা নিতে?
পলাশের রাঙা বন হাতছানি দিলে
আদিবাসী কিশোরীর পায়ে লাগে পলাশের রেণু,
কুড়িয়ে পলাশ রাখে যবে আপন খোঁপায়;
দেবতা উৎকর্ণ, অনুসরণ করে কি নুপুরের ধ্বনি তার?
অথর্ব পিতার দোলনার নিকটে সন্তান হাঁটে,
তীর্থদর্শনে বা পাহাড়ি মন্দিরে যাবে বলে।
দেবতা তখন কি নিচে নেমে সন্তানের হাত ধরে, কষ্ট হ্রাস করে?
স্বার্থহীন সেচ্ছাসেবী সংস্থা অসহায় শিশুদের মুখে যখন খাবার তুলে দেয়,
হাতে তুলে দেয় পোশাক,
দেবতা তখন কি নিচে নেমে আশীর্বাদ করে ?
দেবতার অবতরণের সেই ছবি গুলো কেন
মনের দরজা খুলে বেরিয়ে হারিয়ে যায় অনায়াসে?
মনের তীক্ষতা হ্রাস দায়ী? তাই উপলব্ধি
করতে পারি না দেবতার উপস্থিতি
সকলের মাঝে, প্রকৃতির মাঝে?
চকিতে মানে
অল্প সময়
পলক পড়ায়।
ভাবনা নতুন
মনে আসায়
চকিতে ঝলকানি,
স্বপ্ন পায়রার ঝটপটানি
বুকের মাঝে আশার আলো,
সেই আলোতে আলোকিত
জীবন একটি ঝলমলানো চাঁদনি রাত।
একটি সঠিক ভাবনা তখন কাছে যদি আসে
সেই ভাবনাটার পিঠে চড়ে
জীবনটা বদলাবে অনায়াসে।
সঠিক ভাবনা
কঠিন চেনা
বিশাল আকাশ থেকে যেন
একটা চিল ধরে আনা।
এমন হয় বেশি হয়
সঠিক ভাবনা কোনখানা,
চিনতে চিনতে
ধরতে ধরতে
কাটতে পারে সারা জীবনখানা।
তাই মনের জানালা খোলা রেখো;
নতুন ভাবনার চকিত আলো আসতে পারে,
সজাগ থেকো,
নতুন প্রাণের চকিত হাওয়া আসতে পারে,
সজাগ থেকো।
তোর ফুটবলটা ছোট্ট
যায় না খেলা ভালো,
আমারটা তো আদর করে
বড় পিসি দিল।
দেখ না চেয়ে কতো বড়
আমার রঙিন বল,
তোর টা তে রঙ নেই
যেন মোষের মল।
আয় না তবে খেলি আয়
ভালো বলটি নিয়ে,
সবাই মিলে মজা করি
খেলবো মন দিয়ে।
শুনেই বিলু পগার পার
ছুট্টে গেলো বাড়ি,
পিকু বলে না খেললে
করবে বল আড়ি।
ফুটবল তো খেলার জন্য
খেলাতে হয় খুশি,
না খেললে করে আড়ি,
ক্ষুন্ন হবেই পিসি।
এই না শুনে বাবু সোনা
বলটি নিয়ে এলো,
সবাই মিলে বল খেলে
আড়ি সাঙ্গ হোল।