এ-সভ্যতা করেছে সৃজন অবক্ষয়ের সাগর– ভেসে আছি আমি এক আঁধারের দ্বীপ। দেহ আছে মন আছে নেই অনুভূতি নেই কোনো যোগাযোগ অন্যান্য দ্বীপের সাথে, ওয়াইফাই করছে কই কাজ? আঁধারের দলিল হৃদয়ে করেছে পাহাড় সৃষ্টি । চেয়েছিলাম নীল আকাশে গড়ে তুলব নক্ষত্রপুঞ্জ– জ্বালিয়ে মনের একেকটি দীপ; ভেঙে ফেলব পাহাড় একটু একটু করে। তারপর একদিন জ্বেলে দেব সব অনুভূতি-তারা, আলোকিত হবে দ্বীপ ওয়াইফাই উঠবে জেগেই। যোগাযোগ স্থাপনে সকল দ্বীপ হবেই উদ্যোগী। সাগর শুকিয়ে যাবে।
সবসময় চুলচেরা বিশ্লেষণ সবসময় খামতির বিচার আমার কী নেই তার সমালোচনা করতে করতে তুমি এগোলে আমার দিকে। সত্যি কি তুমি এগোলে? হৃদয় ভাণ্ডারে কী কী পূর্ণ পাত্র আছে তার খতিয়ান না দেখে শূন্য পাত্র গুনে গেলে– সত্যি কি তুমি এগোলে? এমন করলে ভালোবাসার নদীতে প্রবাহিত হয় না জলের ধারা। আমার মধ্যে আধুনিকতার শূন্যতা বড় বড় ডিগ্রির শূন্যতা চটকদার রূপের শূন্যতা দেখলে; আমার প্রণয়ের পূর্ণতা স্নেহ মায়া মমতার আন্তরিকতার পূর্ণ পাত্র দেখতে পেলে না। চারদিকের আলোকে তোমার দেখার চোখ নষ্ট– তাই বুঝলে না তোমার প্রেমের পাখিটাকে বন্দি করে রেখেছ খাঁচায়। তুমি যদি চাও পাখিটা উড়ুক– দ্বিধা না করে আমাকে ভালোবাসো, বিনিময়ে আমি খুলে দেব খাঁচা।
শীত খুলছে নিজের রূপ ধীরে- মনের বারান্দা ডাকছে আমায় রোদ-রেণু মাখতে... মাখতে মাখতে আকাঙ্ক্ষার ঘ্রাণ বলে আরো চাই আরো চাই সুখ-রোদ সকল সময়। এখন তো রোদ মাত্র ঘণ্টা দুই থাকে, আমার মনের ঘরটাকে উল্লম্ব অক্ষের চারদিকে ঘোরাতে যদি পারতাম তাহলে আকাঙ্ক্ষা ফুলেফেঁপে যেত। সুখের উষ্ণতা মেখে জীবনের বারান্দাটা সারাদিন থাকত আরামে। তুমি যদি আসতে জীবনে তোমার ঐন্দ্রজালিক স্পর্শে মনের ঘরটা অক্ষের চারদিকে ঘুরত। রোদ-ছায়াতে সুখের অভাব হত না। তুমি এলে কই?