আহ্নিক গতিতে জীবনের কত দিন চলে গেল পুব থেকে পশ্চিমে, নদীর জলধারা মিলে গেল সমুদ্রে। বার্ষিক গতিতে কত বছর সাগরের ঢেউয়ের মতো জীবনের বেলাভূমিতে ভেঙে গেল, তুমি শেখাতে চাইলে নতুন দিন মাস বছর আসবে পুরোনো আর আসবে না ফিরে। শেখাতে চাইলে এখন যা আছে থাকবে না ভবিষ্যতে। জীবনে নানান অভিজ্ঞতার নাগরদোলায় চাপিয়ে শেখাতে চাইলে এই মুহূর্তে যা উপরে পরমুহূর্তে তা নিচে, সুখের পাহাড় আগামীদিনে দুঃখের সাগর হতে পারে, তবু শিখলাম না কিছুই। কত সম্পদ আহরণ করলাম দর্পের চূড়ায় বসে আস্ফালন করলাম। বুঝলাম না চূড়া ভাঙতে পারে চোখে পরলাম ঘষা কাচের চশমা। তাই ভালোবাসাতে ঘৃণা দেখি আশাতে নিরাশা দেখি দেখি না সম্ভাবনা, মিথ্যা দেখে ভাবি সত্যি সত্যি সত্যি। সত্যি শেখাতে চাইলে চেনাতে চাইলে নীরবে নিজেকে। মিথ্যে শিখলাম, চিনলাম না নিজেকে।
অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল নির্ভেজাল মধু খাব। কতবার গাছের মগডালে মৌচাক দেখে থামিয়ে দিয়েছি পথচলা, সাহস বেরোয়নি হৃদয় থেকে। তবু জোর করে একবার গাছে উঠলাম, অন্য ডাল গেল ভেঙে মাটিতে পড়ে আঘাত পেল আমার শরীর। নির্ভেজাল মধু খাওয়া হল না। তবু জেদ ক্ষান্ত হল কই? অনেক বছর পর মাথায় জেদ চাপল আমার নাগালে মগডাল এল, ভুলে গেলাম কখন মৌমাছির নাগালে এলাম- সারা শরীর হুলবিদ্ধ হল নির্ভেজাল মধু পেলাম না, কাব্যের মধুর স্বাদ এল না নাগালে। কাব্য লেখা হল কই?