এই ভাইরাস

এই ভাইরাস
এই সংক্রামক ভাইরাস আগে ছিল
এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।
এই ভাইরাস অসিকে বারণ করে খাপ থেকে বের হতে,
নিমেষে হারিয়ে দিতে পারে যুদ্ধে,
এ–ভাইরাসের আক্রমণে দুপা কাঁপে মঞ্চে,
মুখও কথা বলে না –
কর্মবিমুখ মনটা বসে থাকে চুপ।
কল্পনা মিথ্যে ছবি আঁকে,
তাই কখনও চোখ ভূত দেখে রাতে
রজ্জুকে ভুজঙ্গ বলে ভ্রম করে
মিথ্যাটাকে সত্য দেখে।

এই ভাইরাস মাঝে মাঝে হিংসাও ছড়ায়,
সমাজে সম্প্রীতি নষ্ট করে।
এ–ভাইরাস মানুষের ভালো গুণগুলোর
প্রকাশে বিকাশে বাধা দেয়।
এই ভাইরাস মনের ভেতর দুর্গ বানিয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকে।
সেই দুর্গ সাহস করে ভাঙলে
মানবসত্তার পূর্ণবিকাশ ঘটে।
এই ভাইরাস মনের ভয়।

প্রেমের পথের যাত্রী

প্রেমের পথের যাত্রী
আকাশ যদি সোহাগ করতে
আসে নেমে পাহাড় চূড়োয়
অলক যদি আসে খেলতে
পাহাড়ের ওই পথের মাঝে,
তুমি কেন আসন ছেড়ে
আসো না গো ভালোবাসতে?

তুমি বললে পাহাড় হব
এক নিমেষে অনায়াসে,
তুমি বললে নদী হব
নাইতে এসো ভালোবেসে।

ভালোবাসলে নামাই যায় গো
আকাশ থেকে প্রেমিক বুকে–
জানো না কি তোমায় ছেড়ে
থাকি আমি কেমন সুখে!

ভালোবেসে আমি যদি
ছাড়তে পারি এত কিছু,
এবার না হয় একটু নামো
এসো না হয় আমার পিছু।

আকাশের চাঁদ হতেই পারো
দিতেই পারো জ্যোৎস্না রাত্রি,
আমি পাহাড় তুমি যে চাঁদ
আমরা প্রেমের পথের যাত্রী