ছেলেবেলায় যারা নিজের ছিল
তারা কোথায় হারিয়ে গেল!
পছন্দের খেলার উপকরণ, মাঠ
যেন কোথায় হারিয়ে গেল।
যারা ছিল খেলার বন্ধুবান্ধব
তারাও কোথায় গেল চলে।
স্কুলকলেজে যাদের ছাড়া
সময় কাটবে না ভেবেছিলাম–
যাদের একান্ত আপন মনে হত
তারাও কোথায় যেন সরে গেল।
কর্মস্থলে যাদের ছাড়া
এক–পা এগোতে পারতাম না–
তারা যেন হঠাৎ হারিয়ে গেল।
মাঝেমধ্যে শুধু এখন
দু–একটা ফোন আসে।
এ–বয়সে উপলব্ধি:
চোখ মেলে যা দেখি মনে হয় সব আমার।
যা–কাছে আসে যেন চলে যাবার জন্যে।
ছেলেবেলা আসে চলে যাবার জন্যে
ছাত্রজীবন আসে চলে যাবার জন্যে,
কর্মজীবন আসে চলে যাবার জন্যে
জন্ম হয় মৃত্যুর দিকে এগোবার জন্যে।
এখন মনে হচ্ছে সব কিছু আসে যায়
আমিত্ব-নাশের উপলব্ধি দিতে।
তবু নাশ হল কই?
কতবার জন্মাতে হবে কে জানে।