আর কবে তুই

আর কবে তুই
উৎসবেতে উৎসাহ নেই
আগমনি বেসুর,
কাশ দোলে না মন দোলে না
প্রফুল্ল তাই অসুর?
বানের তোড়ে বাঁধ ভেঙেছে
গেছে খুশি ভেসে,
ডাক্তাররা আজ নিগৃহীত
মা আজ তুই কোন দেশে?
অভয়ারা নির্যাতিত
তবুও তুই পাথর,
প্রতিবাদের মন্ত্র শত
পাথর তবু নিথর?
বানভাসিদের আর্তি বুঝি
পৌঁছোয় নি তোর কানে,
নারী–সম্মান লুণ্ঠিত আজ
বুঝিস না কি মানে?
আর কবে তুই ধরবি আয়ুধ
করবি অসুর বিনাশ,
আর কবে তোর ন্যায়–পাখিটা
দেখবে মুক্তির আকাশ?

প্রেমের অংশীদার

প্রেমের অংশীদার
সম্পর্কের অর্থ বুঝতে গিয়ে
অর্থের সঙ্গে সর্ম্পক পাতালে,
তাই আমি ভয় পাই আজ
কেউ আমায় ভালোবাসলে।

চেয়েছিলাম তোমার সঙ্গে
বৃক্ষ–মাটির সম্পর্ক–
লেনদেনহীন গভীরতা,
দেখলাম তুমি শুধুই কষলে অঙ্ক।

চেয়েছিলাম তোমার সঙ্গে
সম্পর্ক সমতল–নদীর
সবুজ হল না দুই পাড়
স্বার্থের জলে ভাসালে দুই তীর।

অঙ্ক কষায় হবে যে আজ কাঁচা
শর্ত স্বার্থ ছলনা নেই যার–
তাকেই খুঁজছি সারাদিনরাত,
সে হবে আমার প্রেমের অংশীদার

স্বার্থ শুধু খুঁজি

স্বার্থ শুধু খুঁজি
মেয়ের কথা ফুলের কথা যাচ্ছি কেন ভুলে?
মায়ের কথা নদীর কথা যাচ্ছি বুঝি ভুলে।
দায়ের কথা সেবার কথা কথার কথা বুঝি?
লক্ষ্য আমার স্থির আছে ঠিক স্বার্থ শুধু খুঁজি
দেওয়া কথা রাখতে ভুলি বন্ধু তবু বলি,
অপছন্দের দৃশ্য দেখে চোখে বাঁধি ঠুলি।
মানবতা ফ্রাইং প্যানে সমব্যথা মুখে–
ব্যবসায়ী মন অর্থ খোঁজে মরুক না কেউ দুঃখে।
অহংকারের কলম আমার দুরন্ত তার গতি–
থামাবে কে থামাবে কে দেবে কে আজ যতি?
দিয়েছি পাশ কত শত তাইতো বুঝি মর্ম,
বেকারত্ব ভিক্ষা করে আমি পরি বর্ম।
অশ্রুজলের কারণ খুঁজতে নেই যে হাতে সময়,
অবাক করা ক্ষোভের বন্যা হল কখন উদয়?

গোলাপ কলি

গোলাপ কলি
গোলাপ বাগে গোলাপ কলি
নিহিত অশেষ সম্ভাবনা,
ফোটার আগে নষ্ট করলে-
আরজিকরের দুর্ঘটনা।

নষ্ট করল গোলাপ কলি
প্রস্ফুটনের আগেই যারা,
তাদের সম্ভাবনার পায়ে
মারছে কুড়ুল যেন তারা।

চোটের ফলে খোঁড়ায় তারা
সবাই তাদের ছোঁড়ে থুতু,
কয়েদখানা আদর করে
রাখছে সেথায় অগ্নিকেতু।

গোলাপ কলি ফুটল না গো
পাপড়ি মেলা হল না তার,
সম্ভাবনার হত্যাকারীর
গর্দান ধরুক সুবিচার।

ভবিষ্যতের গোলাপ ফুল
আলো করে থাক বাগিচায়,
মিষ্টি সুবাসে বাহারি রূপে
মত্ত বায়ু বইবে সেথায়।

যখন ডাকবে

যখন ডাকবে
যখন ডাকবে মুখের কথা মনের কথা এক করে আমি ঠিক চলে আসব তোমার কাছে।
এতে তুমি একা ভালো থাকবে নির্জন সবুজ প্রান্তরে।
তখন ঘাসের শিশির ভিজিয়ে দেবে ভাবাবেগের পায়ের পাতা,
রবির আলো মাখাবে গায়ে কাজের উদ্দীপনা।
গাছের পাতারা বাতাসের সুরে বাজাবে যে একতারা,
রাতের আকাশ আসবে নিকটে।
চাঁদ-তারাদের ভাষা পারবে বুঝতে,
যেদিকে তাকাবে খুঁজে পাবে কবিতার উপাদান।
তুমি কি তখন ঘুমোতে পারবে নিরুদ্বেগে
এই সমাজে জনসমুদ্রে?
বানভাসি মানুষের দুরবস্থা, আরজিকরের
দুর্ঘটনা তোমাকে তো ঘুমোতে দেবে না।
যারা আজ এখনো ঘুমোচ্ছে তারা যদি ওঠে জেগে,
অন্তর দিয়ে ডাকে আমায় তোমার মতন, সূর্য উদয় হবে পুব আকাশে সম্মিলিত শুভবোধের আলো ছড়িয়ে। থাকবে সমাজ সুস্থ।
আমি শুভবোধ।