শৈবালের ফাঁদ

শৈবালের ফাঁদ

শৈবালের ফাঁদ পাতা থাকে
চোখ পথভ্রষ্ট পদক্ষেপে,
অসতর্ক অস্থিরতা হোক
ফাঁদ কি তখন হাসি চাপে?

পদস্খলন শব্দ করলে
হাসির ফোয়ারা যাবে খুলে,
শৈবালসম মানুষরাও
লুকিয়ে আছে সমাজ তলে।

তাদের সাথে সখ্যতা মানে
পিছল আঙিনায় পা-রাখা,
অসাবধানি দৃষ্টিভঙ্গিতে
কপাল শরীর ধুলোমাখা।

এমন শৈবাল দেশজুড়ে
রয়েছে আজ সকল স্তরে,
সাফ না করলে প্রতিক্ষণে
বিপদ যে সাথে সাথে ঘোরে।

বিপদের সঙ্গে সহবাস
প্রত্যেক দিনের অভিজ্ঞতা-
ঢাক বাজিয়ে জানায় যেন
বদল আনার অক্ষমতা।

ঘরে অতিথি

ঘরে অতিথি
প্রবাস বাস লাগেই ভালো
যদি তা হয় সাময়িক
কে চায় ঘরে প্রবাসী সুখ,
ঘরে অতিথি আবাসিক?

সেই অতিথি কর্তা কথায়
কাজের বেলা মেহমান,
বাকিরা নিক দায়ের ভার
ভাগের বেলা অসমান।

এমন প্রথা বর্তমানে
কার্যকরী হলে ঘরে,
ঘর যে আর ঘর থাকে না
সদ্ভাবটা দূরে সরে।

ঘনিষ্ঠতা প্রবাসে যায়
খিটিমিটির বড় ফাঁস,
কেউ কাউকে মানে না তাই
অরাজকতা বারোমাস।

কথার মারে আঘাত পেয়ে
সংসারটা শুধু কাঁদে,
দায়িত্বটা কাঁধে নিলেই
ঘরটা নিজ প্রচ্ছদে।

প্রেমিক পিকের শুধু

প্রেমিক পিকের শুধু
অবিরাম কুহুতানে কোকিল কাহিল
কোথা গেল তার পিকী প্রেম অনাবিল-
যায় চলে ঋতুরাজ যায় মরশুম
অকালে কি ঝরে যাবে প্রেমের কুসুম?

যখন সময় ছিল ছিলে তুমি যুবা
অবহেলা দান করে হয়েছিলে বোবা।
ভেবেছিলে পিকী যেন শুধুই তোমার
অধিকার দেখিয়েছ মাননি গ্রামার।

সময় থাকে না থেমে মানে না যে হেলা
এখন কি লাভ হবে ডেকে দুই বেলা?
সময়ের কাজ ফেলে করেছ আরাম
ঘণ্টী বাজিয়ে কখন চলে গেছে ট্রাম।

অধিকার নয় পিক থাক শুধু প্রেম
নীরব কাজেতে থাক মনোযোগ হেম।
মুখে শুধু রব নয় থাক প্রেম চিঠি
প্রেমিক পিকের শুধু থাক মিঠা দিঠি।

এসো বৃষ্টি

এসো বৃষ্টি

এতদিন গ্রীষ্মের ক্রোধাগ্নি
পুড়িয়েছিল বাতাস-
পোড়া পোড়া গন্ধ ভরা পরিবেশে
আবাসন উৎকর্ণ ছিল,
শোনেনি কোনো কূজন উচ্ছ্বাস।
সামান্য বৃষ্টি ঝরায়
সমীর-শরীরে জ্বালা উপশম।
উদ্বাস্তু পাখিরা খুঁজে পায়
কারণ খুশি দেখাবার,
আবাসন খোঁজে ছন্দ
দিনের কোলাহলে আবার।
অলিন্দেরa অলস শরীর
উপোষ ভাঙে ঠান্ডা পানীয়ে,
গ্রীষ্মের অরাজকতা শেষ করে
বর্ষা ধীরে আসে কি জানিয়ে?

তবু চাষির অদৃষ্ট কাঁদে
কাঁদে খেতের জমিন
জীবনের রস নেই
কল্পনার, ফসলের মূলে ।
এসো বৃষ্টি – সরস সৃষ্টির বীজ দাও পুঁতে, প্রকৃতির প্রসাধন হোক প্রকৃত ফসলে।