আমার বাড়ির চাঁদোয়া-আকাশে
সুখের শুভ্র মেঘ উড়ে বেড়ায়-
মতিগতি তার অস্থির বড়ই
কখন কার বাড়ি পালায়।
পাখা মেলে সে ঘুরে বেড়ালে
পরিবারটা তার ছায়াতে-
হাসে ভালোবাসে আনন্দ ছড়ায়
আত্মীয়রা আসে অজুহাতে।
মাঝে মাঝে দেখি হঠাৎ আকাশে
চিহ্ন রাখে না কোথা সে যায় চলে,
জাদু কে দেখাল? দুঃখের অলক
পলকে এল সেথায় ইন্দ্রজালে?
কালো মেঘগুলো কত যেন কাছে
আঁধার পাঠিয়ে করে পরিহাস,
বিচলিত মন বিভ্রান্তির পথে-
হোঁচটে হারায় আত্মবিশ্বাস।
আঁধার-আশ্রয়ে নেই আলো জ্বালা
শাসনে শোষণে ব্যস্ত দুঃখ-রাজ,
সোফা খালি পরিজন বসে নেই
বিষাদের সুর বাজায় এসরাজ।
বিষন্ন প্রহরে বিষাদের সুরে
মাথাগুলো হয় একজোট-
মেপে নেয় তারা নিজেদের শক্তি
কারা বন্ধু কারা বা সাপোর্ট।
মেঘের সাদা বুক চেরা আলোতে
সুখের কপোত খুঁটে খায় দানা,
কালো মেঘে আকাশ ভরলে
কারা বন্ধু কারা বা স্বজন যায় জানা।
সাদা অথবা কালো মেঘের
গতিপথে জীবনটা ঘোরে,
সুখে-দুঃখ নাড়ুক-না কড়া
জীবন-প্রীতি যাবে না মরে।