প্রথম যখন হাঁটা শুরু
দুচোখে বুনেছিলাম স্বপ্নজাল।
প্রশান্তির স্রোত ছিল রক্তে,
চোখের মুখের কোণ থেকে
হাসি ঝরে পড়ত অজান্তে।
সমুদ্রের তরঙ্গ দেখলে আমার মনটা গাঙচিল হয়ে উড়ত পাখনা মেলে।
ছেড়েছিলাম কখন গুহার আবাস,
ছেড়েছিলাম কখন গহিন বনজঙ্গল-
স্মৃতি থেকে গেছে আজ মুছে।
হেঁটেছি অজস্র পথ,
অবিরাম হাঁটছি এখনো নাগরিক পথে-
পায়ের পেশি শক্ত হয়েছে।
সময়ের সুসজ্জিত আয়নাতে
যখন দেখি নিজেকে, মুখে দেখি আঁকা
গাম্ভীর্যের কারুকার্য, গেল কোথায় নিষ্পাপ ভাব!
অনিদ্রা চোখের কোলে সাক্ষর করেছে,
ক্লান্ত চোখ রাতের আঁধারে ব্যস্ত ঘুমের আরাধনায়।
মুখমন্ডল এখন ধূসর পাথর
হৃদয়ে হৃদ্যতা নেই নেই ভালোবাসা,
চারদিকে ছড়ানো যন্ত্রণা ক্ষত-
যত হাঁটছি তত ঝরছে রক্ত।
আমি শৌখিন সভ্যতা – ক্লান্ত অবশ পা।